প্রকাশ :
২৪খবর বিডি: 'ঢাকার চারপাশে নদ-নদীর ওপর নির্মিত ব্রিজ ভেঙ্গে নৌ চলাচলের উপযোগী করে নির্মাণ করা হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।'
'রোববার রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে বাংলাদেশ ঢাকা মহানগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিয়ন্ত্রণাধীন রেগুলেটর ও ড্রেনেজ আউটলেট স্ট্রাকচারগুলো ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের অনুকূলে হস্তান্তরের লক্ষ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা জানান তিনি।'
-তাজুল ইসলাম বলেন, ঢাকার চারপাশে নদ-নদীর উপর যে সেতুগুলো রয়েছে সেগুলো নৌ-যান চলাচল উপযোগী নয়। ইতোমধ্যে এসব সেতু চিহ্নিত করা হয়েছে এবং ভেঙ্গে নৌ-যান চলাচল উপযোগী করে নির্মাণের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। নৌ রুট চালু করতে পারলে ঢাকার রাস্তায় ট্রাফিক অনেকটাই কমে আসবে।
-তাজুল ইসলাম বলেন, ঢাকা ওয়াসা থেকে দুই সিটি করপোরেশনের কাছে খাল হস্তান্তরের পর সেগুলো পরিস্কার, খনন, পুনর্খনন, সংস্কার এবং অনেক অবৈধভাবে দখল হয়ে যাওয়া জায়গা ও খাল উদ্ধার করার ফলে অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর জলাবদ্ধতা অনেক কম হয়েছে। আমরা দেখেছি ঢাকা শহরের রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে যেতো। আজ কিন্তু সেই পরিস্থিতি নেই।
'স্থানীয় সরকার মন্ত্রী জানান, ঢাকা শহরের অধিকাংশ বাসাবাড়িতে সেপটিক ট্যাংক নাই। বাসা মালিকরা নিজেদের সুয়ারেজ লাইন সরাসরি খালে দিয়ে রেখেছেন। অনেকবার বিভিন্নভাবে সতর্ক করা হয়েছে। কিন্তু ফলাফল সন্তোষজনক নয়।'
-এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'শুধু সতর্ক করলে হবে না, কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। যারা সুয়ারেজ লাইন খালে দিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে জরিমানা ও শাস্তির ব্যবস্থা নিতে হবে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সেপটিক ট্যাংক না করলে সুয়ারেজ লাইন বন্ধ করে দিতে হবে।'
-মন্ত্রী বলেন, ঢাকা শহর অপরিকল্পিতভাবে গড়ে উঠেছে। এই শহকে পরিকল্পিতভাবে বাসযোগ্য নগরী গড়ার জন্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী দুই মেয়র নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। ইতোমধ্যে অনেক দৃশ্যমান কাজ করেছেন তারা।
ঢাকার চারপাশে নদ-নদীর ওপর নির্মিত ব্রিজ ভেঙ্গে নৌ চলাচলের উপযোগী করা হবে: তাজুল ইসলাম
'অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক বলেন, রাজধানীর খাল, ড্রেন, বক্স কালভার্ট ও ব্রিক সুয়ারেজ লাইন দিয়ে বৃষ্টির পানি নদীতে যেতে পারছে না। ঢাকার পার্শ্ববর্তী প্রায় সবকটি নদী তার অস্তিত্ব সংকটে ভুগছে। ঢাকায় বৃষ্টির পানি সরে যাওয়ার প্রাকৃতিক ব্যবস্থা নষ্ট হয়ে গেছে। আগে বৃষ্টির পানি খাল দিয়ে নদীতে চলে যেত কিন্তু এখন এ সব খাল বা নদী প্রায় ভরাট হয়ে গেছে। এ অবস্থায় ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন রাজধানীর খালগুলো সংস্কার ও সৌন্দর্যবধর্নে দায়িত্ব নিতে যাচ্ছে তা সত্যিই আশাব্যঞ্জক।'
-পরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক ফজলুর রশিদ ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী ফরিদ আহম্মদ স্ব স্ব দপ্তরের পক্ষে সমঝোতা স্মারক সই করেন। ঢাকা শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনের দায়িত্ব (খাল ও ড্রেনেজ) আনুষ্ঠানিকভাবে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাছ ৫৫ টি স্লুইস গেট ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
'স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ্ উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য, পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কবির বিন আনোয়ার।'